ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে।
করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে,
দীন যে, দীনের বন্ধু!—উজ্জ্বল জগতে
হেমাদ্রির হেমকান্তি অম্লান কিরণে।
কিন্তু ভাগ্যবলে পেয়ে সে মহা পর্বতে,
যে জন আশ্রয় লয় সুবর্ণ চরণে,
সেই জানে কত গুণ ধরে কত মতে
গিরীশ। কি সেবা তার সে মুখ সদনে।—
দানে বারি নদীরূপ বিমলা কিঙ্করী;
যোগায় অমৃত ফল পরম আদরে
দীর্ঘশিরঃ তরুদল, দাসরূপ ধরি;
পরিমলে ফুলকুল দশ দিশ ভরে;
দিবসে শীতল শ্বাসী ছায়া, বনেশ্বরী,
নিশার সুশান্ত নিদ্রা, ক্লান্তি দূর করে!

বিদ্যাসাগর ও অধমর্ণ বাঙালি সমাজ

—আবুল আহসান চৌধুরী

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-৯১) উনিশ শতকের এক কীর্তিমান বাঙালি। সমাজসংস্কার, শিক্ষাপ্রসার, নারীর আলোকিত ভুবন-নির্মাণ, বাঙলা গদ্যের বিন্যাস ও পরিচর্যা, অমিতবীর্য পৌরুষ, গভীর মানবিক মূল্যবোধ, ‘দয়া’ ও ‘করুণা’র প্রকাশ, সেক্যুলার চেতনা— তাকে বাঙালি সমাজে স্বতন্ত্র পরিচয়ে চিহ্নিত করেছে।

উনিশ শতকের বাংলার জাগরণ বলতে যা বোঝায়, প্রকৃতপক্ষে তা ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক শিক্ষিত বাঙালি জাগরণ। অন্য-অর্থে এ হলো বিত্ত ও বিদ্যার সমন্বয়ে নবচেতনায় প্রাণিত বাঙালি হিন্দুর সামাজিক উত্থান। এই যে নবজাগৃতি, কারণ বা ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন, এর আলোকিত আঙিনায় বাঙালি মুসলমান ছিল অনুপস্থিত— শুধু তাই নয়, বৃহত্তর বঙ্গদেশের গ্রামীণ সমাজেরও কোনো যোগ ছিল না এর সঙ্গে। সেক্যুলার-চেতনাবিহীন বাংলার খণ্ডিত ও অসম্পূর্ণ এই নবজাগরণের সূত্রে গড়ে ওঠে হিন্দু জাতীয়তাবাদ, যা সমাজে জন্ম দেয় সাম্প্রদায়িকতা নামের বিষবৃক্ষের— যার কটু কথায় ফল জাতিবৈরতা। সংকীর্ণ ও রক্ষণশীল দৃষ্টির এই পরিবেশে অনিবার্যভাবে এসে যায় জাতিগত বিচ্ছিন্নতা এবং তার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় পাল্টা মুসলিম জাতিগত-স্বাতন্ত্র্যবোধ ও সাম্প্রদায়িকতার। জাতীয় জীবনে এর পরিণাম হয়ে উঠেছিল ভয়ংকর। যাঁরা এর ব্যতিক্রম ছিলেন বিদ্যাসাগর তাঁদের অন্যতম— উগ্র ধর্মীয় জাতীয়তাবাদে যাঁরা মজেছিলেন, বিদ্যাসাগর তাঁদের দোসর হতে পারেননি।

দুই.


বিদ্যাসাগর জন্মেছিলেন এক রক্ষণশীল দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে, সেকালের বাংলার এক প্রত্যন্ত পল্লিতে। বংশে টোল-চতুষ্পাঠীর বাইরে শিক্ষালাভের চল বা সুযোগ ছিল না। পিতা ঠাকুরদাস সামান্যই লেখাপড়া জানতেন, সেই স্বল্প বিদ্যের দৌলতে কলকাতায় গিয়ে মহাজনের গদিতে খাতা লেখার চাইতে বড় চাকরির আশা বা সুযোগ কোনোটাই ছিল না। অতি-সাধারণ মান ও মাপের এই মানুষটি পুত্র ঈশ্বরচন্দ্রকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন লেখাপড়া শেখানোর জন্য। ততদিনে কলকাতাকে কেন্দ্র করে এক অভাবিত জাগরণের কোলাহল শুরু হয়েছে। এসব কিছু ঠাকুরদাসের মনে কোনো দাগ কাটেনি। তাই প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সময় যখন এলো, ঈশ্বরচন্দ্রকে তিনি হিন্দু স্কুলে না দিয়ে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি করে দিলেন। অবশ্য হিন্দু স্কুলে পুত্রকে ভর্তি করার সামর্থ্য বা ইচ্ছা কোনোটাই তাঁর ছিল না। কেননা তিনি চেয়েছিলেন সংস্কৃত কলেজের চলনসই শিক্ষা গ্রহণ করে ঈশ্বর বীরসিংহ গ্রামে গিয়ে টোল খুলে বসবেন। ঠাকুরদাসের সেই আশা পূর্ণ হয়নি- তবে ঈশ্বর তারও চেয়ে অনেক গুণ বেশি আশা পূরণ করেছিলেন সমাজ ও দেশের। তবে ঠাকুরদাস এক-অর্থে না-বুঝে ‘ইতিহাসের অচেতন হাতিয়ার’ হিসেবে কাজ করেছিলেন, নইলে ঈশ্বরচন্দ্রের সমকালীন সমাজে নিজেকে বিকশিত করার কোনো সুযোগই মিলত না।

তিন.


কী চেহারা, কী বেশভূষা— কোনোটাতেই বিদ্যাসাগর আকর্ষণীয় তো নয়ই, ছিলেন সাধারণ— অতি সাধারণ। উনিশ শতকের বাঙালি সমাজের যাঁরা প্রধান পুরুষ— রামমোহন, দ্বারকানাথ, রাধাকান্ত দেব, দেবেন্দ্রনাথ, কেশবচন্দ্র, বঙ্কিমচন্দ্রের দাশে সাজপোশাক বা চেহারাসুরতের দিক দিয়ে বিদ্যাসাগর অতি দীন— অতি মলিন। বিদ্যাসাগর তাঁর ধুতিচাদর-চটি কখনো ছাড়েননি। শুধু লাটসাহেবের আমন্ত্রণে বার-দুইতিন তিনি পেন্টুলুন বা চোগা-চাপকান বা শামলা-টামলা পরেছিলেন কেতা-রক্ষার জন্যে। লালন ফকির তাঁর এক গানে বলেছিলেন : ‘সুখ চেয়ে সোয়াস্তি ভালো’। চরম অস্বস্তিতে পড়ে এই সং-এর পোশাক পরে লাটসাহেবের কাছে তিনি আর আসতে পারবেন না, সাফ জানিয়ে দেন। যাই হোক, বিদ্যাসাগরের চেহারা-পোশাকে লাবণ্য-জৌলুস না-থাকলেও তাঁর যা ছিল উনিশ শতকের অনেক রথী-মহারথীরই তা ছিল না— বিশুদ্ধ মানবপ্রেম, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, বারুণাপ্রবণ মন, প্রথা-সংস্কার-শাস্ত্রের দাসত্ব না-মানা, অগ্রসর দৃষ্টি, নিরাপস মনোভাব, অমিতবীর্য পৌরুষ, সামাজিক দায়বদ্ধতা।

চার.


নারীর বেদনা বিদ্যাসাগরকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছিল। তাঁর পূর্বসূরি রামমোহন দেখেছিলেন নারীকে জোর করে তার স্বামীর চিতায় তুলে দিয়ে পুড়িয়ে মারার দৃশ্য— শুনেছিলেন তাঁর বাঁচার আকুতি, গগনবিদারি আর্ত-চিৎকার। অন্যদিকে বিদ্যাসাগর নজর করেছিলেন পুতুল খেলার বিয়ে, কুলীনের পো-র স্বেচ্ছাচার আর বিধবার বোবাকান্না। রামমোহনের মতো শাস্ত্র-ধর্মের বিরুদ্ধে লড়ে তিনিও জয়ী হলেন। শাস্ত্রবাহকের হুমকি আগ্রহ্য করে কলকাতা শহরে আয়োজন করলেন প্রথম বিধবা বিবাহের। বড়ো-বড়ো মানুষেরা কথা দিলেন বিবাহবাসরে উপস্থিত থাকবেন বলে— এঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার নবজাগরণের ঋত্বিক ভারতপথিক রাজা রামমোহন রায়ের কৃতী পুত্র বিদ্যাসাগরের অভিন্নহৃদয় বন্ধু রমাপ্রসাদ রায়। অসামান্য বুদ্ধিমান রমাপ্রসাদ ঝামেলা এড়াতে কথা দিয়েও বিয়েতে এলেন না। এক সময় বিদ্যাসাগর গেলেন রমাপ্রসাদের বাড়িতে। দেয়ালে-টাঙানো রামমোহনের ছবি দেখে বিদ্যাসাগর উত্তেজনায় থরথর করে কেঁপে উঠে রমাপ্রসাদকে বললেন : ‘ফেলে দাও, ফেলে দাও এই ছবি- ওঁর ছবি টাঙানোর অধিকার তোমার নেই।’

বিদ্যাসাগরের একমাত্র পুত্র নারায়ণ বিধবাবিবাহ করেন। এতে আত্মীয়টুকুম্বরা সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেয়। এসব খবর শুনে অনুজ শুম্ভুচন্দ্র বিদ্যারত্নকে এক চিঠিতে বিদ্যাসাগর স্পষ্ট জানিয়ে দেন :’বিধবাবিবাহ-প্রবর্তন আমার জীবনের সর্বপ্রধান সৎকর্ম। …এ বিষয়ের জন্য সর্বস্বান্ত হইয়াছি এবং আবশ্যক হইলে প্রাণান্ত স্বীকারেও পরাগ্ধমুখ নহি। সে বিবেচনায় কুটুম্ববিচ্ছেদ অতি সামান্য কথা। কুটুম্ব মহাশয়েরা আহার-বিহার পরিত্যাগ করিবে, এই ভয়ে যদি আমি পুত্রকে তাহার অভিপ্রেত বিধবাবিবাহ হইতে বিরত করিতাম, তাহা হইলে আমা অপেক্ষা নরাধম কেহ হইত না। …সে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া এই বিবাহ করাতে, আমি আপনাকে চরিতার্থ জ্ঞান করিয়াছি। আমি দেশাচারের নিতান্ত দাস নহি; নিজের বা সমাজের মঙ্গলের নিমিত্ত যাহা উচিত বা আবশ্যক বোধ হইবে, তাহা করিব, লোকের বা কুটুম্বের ভয়ে কদাচ সঙ্কুচিত হইব না।’ —জানতে ভারি ইচ্ছে করে, বাঙালি এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, সিদ্ধান্তে অটল, বিবেকের নির্দেশের মনোভাব কবে থেকে হারালো? ‘আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শিখাও’ —এই আপ্ত-বাক্যই বা বিস্মৃত হলো কেমন করে?

পাঁচ.


শিক্ষাব্রতী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষা-প্রশাসক, শিক্ষা-পরিকল্পক, পাঠ্য-পুস্তক-প্রণেতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-নির্মাতা— নানাভাবে বিদ্যাসাগর শিক্ষা-কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। নারী শিক্ষার কাঠামোও তাঁর হাতে তৈরি। তিনি সেক্যুলার শিক্ষাচিন্তায় প্রাণিত ছিলেন। তাই তিনি প্রতীচ্যের অবিতর্কিত পাঠ্য-বিষয়ে যেমন আগ্রহী, তেমনি প্রাচ্য বা ভারতবর্ষের বিতর্কিত পাঠ্য-বিষয় অনুমোদন করেননি। বেদান্ত ও সাংখ্যকে তিনি ভ্রান্ত দর্শন বিবেচনা করতেন বলে তা কখনোই শিক্ষা-পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করেননি, ওই একই কারণে তিনি বার্কলের দর্শন পাঠ্য করার বিষয়ে ঘোরতর আপত্তি জানান। এসব বিষয়ে শিক্ষা-প্রশাসন ও সরকারের সঙ্গে তাঁর মতের অমিল হয় এবং দায়িত্ব থেকে তিনি ইস্তফা দেন। সাহেব শিক্ষা-কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর বিরোধের কাহিনি তো কিংবদন্তির মতো ছড়িয়ে আছে। শিক্ষা-সংস্কার ও প্রসারেও তাঁর ভূমিকা স্মরণীয়। তাঁরই উদযোগে সংস্কৃত কলেজে নিম্নবর্ণের ছাত্রভর্তির ব্যবস্থা প্রচলিত হয়। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বিদ্যাসাগরের নীতিবোধ ও কঠোর ভূমিকার কথাও উল্লেখ করার মতো। বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিশনের অধ্যক্ষ পদ থেকে অর্থ-তছরুপের দায়ে তাঁর প্রিয় জামাতা সূর্যকুমার অধিকারীকে বরখাস্ত করতে দ্বিধা করেননি। বহু দরিদ্র ও গ্রাম মফস্বল থেকে আসা ছাত্র তাঁর আর্থিক আনুকূল্যে স্কুল-কলেজে পড়ার সুযোগ পায় এবং এদের মধ্যে উত্তরকালে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠালাভও করে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জেলায় জেলায় মডেল স্কুল ও বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন তাঁর পরিকল্পনা-উদযোগেই সম্ভব হয় এবং এর পরিদর্শন-তত্ত্বাবধানের ভারও তাঁর ওপরই বর্তায়।

মেয়েদের লেখাপড়ার বিষয়টিকে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ও তাঁর বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কার বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুনকে বিশেষভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিলেন। মেয়েদের লেখাপাড়য় তিনি বরাবর উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে তাঁর গুণগ্রাহিতা ছিল তুলনাহীন। চন্দ্রমুখী বসু বাঙালি মেয়েদের মধ্যে প্রথম এম.এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই খবরে বিদ্যাসাগর বিশেষ আন্দিত হন। তিনি উইলিয়ম শেক্সপিয়রের গ্রন্থাবলি উপহার পাঠিয়ে তাঁর এই সাফল্যের জন্যে তাঁকে অভিনন্দিত করেন। এই সৌজন্যবোধ সেকালে আর-কারোর মধ্যে তেমন দেখা যায়নি।

ছয়.


ভালো পাঠ্যবই মানসম্পন্ন শিক্ষার অন্যতম শর্ত। কিন্তু যোগ্য পাঠ্যবইয়ের বড়ো অভাব ছিল সেকালে। এই অভাব পূরণে বিদ্যাসাগর ও তার বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কার এগিয়ে আসেন। বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ ও মদনমোহনের ‘শিশুশিক্ষা’ ছিল সম্প্রদায়নির্বিশেষ বাঙালির সূচনা-শিক্ষার হাতেখড়ির পুস্তিকা। আজও এর আবেদন নিঃশোষিত নয়। এর পাশাপাশি বিদ্যাসাগরের ‘বোধোদয়’, ‘ঋজুপাঠ’, ‘কথামালা’, ‘আখ্যানমঞ্জরী’র কথা কে ভুলতে চাইবেন! প্রাইমার-রচনার যে ধারা বিদ্যাসাগর প্রবর্তন করেছিলেন, তা-ই বাঙালির কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছিল।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, সংস্কৃত কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাধারণ বালক-বালিকা বিদ্যালয়ের জন্যেও তাঁকে পাঠ্যগ্রন্থ রচনা, সংকলন, সম্পাদনা ও অনুবাদ করতে হয়। সংস্কৃত-হিন্দি-ইংরেজি নানা ভাষা থেকে সেই ভাষার লোকপ্রিয় ধ্রুপদি কোনো কোনো বই তিনি তরজমা করেন— ‘শকুন্তলা’, ‘সীতার বনবাস’ বা ‘ভ্রান্তিবিলাস’। কালিদাস, ভবভূতি ও শেক্সপিয়রের এই রূপান্তর বিদ্যাসাগরের শিল্পবোধ, প্রজ্ঞা ও রচনাগুণে মৌলিকত্বের স্বাদ এনে দিয়েছে। অন্তত এই তিনখানা বই পাঠ্যগ্রন্থের সীমানা ছাড়িয়ে চিরায়ত সাহিত্যের মর্যাদা অর্জন করেছে। বিদ্যাসাগরই বাংলায় শেক্সপিয়রের প্রথম অথবা প্রথম পর্বের অনুবাদক। আর ‘সীতার বনবাস’ সম্পর্কে ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সেকালে বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে এই বইখানি পঠিত হতো। উপেক্ষিতা সীতার বেদনা-দুঃখ পাঠকের অন্তর মুচড়ে হাহাকার ও চোখের জেল বের করে আনতো।

২৭ অক্টোবর ২০২০ খ্রীস্টাব্দে প্রকাশিত।


কোন মন্তব্য নেই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন

vidyasagar.info ©